অপু আর দিয়ার লাভ স্টোরি~
সকাল সাড়ে ৮টা বাজে দিয়ার মা ওকে ওর রুম এর বাইরে থেকে ডাকছে কিরে দিয়া বেলা তো অনেক হল উঠবি কখন দিয়া এক ডাকে কোনো সাড়া দিল না মা আবার ডাকল দিয়া ঘুমের মধ্যেই আধ জাগা অবস্তায় মাকে বলল হমম উঠবো আর একটু ঘুমোতে দাও দিয়ার মা ঘড়ি দেখে চলে গেল
দিয়া ভাবলো আর ৫মিনিট পর উঠে যাবে এই বলে ওর টেডি টাকে খুব জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ল
এদিকে আজ দিয়ার কলেজে একটা প্রোগ্রাম আছে তাও ড্যান্স প্রোগ্রাম আর দিয়া ড্যান্স করতে খুব ভালবাসে
তারপর দিয়ার মা আবার এসে ডাকলেন তখন ঘড়িতে সকাল সাড়ে ৯টা দিয়ার মা যেই বললো সাড়ে ৯ টা বেজে গেল অমনি দিয়া বিছানায় বসে পড়লো ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ঠিকই সাড়ে ৯ টা
তাড়াতাড়ি করে কলেজের জামাকাপড় নিয়ে চলে গেল বাথরুম এ স্নান করতে
১০মিনিট এর মধ্যে দিয়া স্নান করে এসে পড়ল তাড়াতাড়ি করে রেডী হয়ে ব্রেকফাস্ট করে নিজের স্কোটি নিয়ে বেরিয়ে পড়ল স্কোটি স্টার্ট করতেই মনে হল ফোন নেইনি মা কে ডাকতেই ওর ফোন নিয়ে গেল
তারপর কলেজে রওনা হল বাড়ি থেকে বেরিয়ে ৫ মিনিট পরেই ওর ভালোবাসার মানুষ অপুর বাড়ি সেখানে গিয়ে দেখে ওর বাড়ির গেট বন্ধ তখন ফোনে দেখে ওকে অপু
১০ বার কল করেছে কিন্তু তখন দিয়া ঘুমিয়ে ছিল তারপর দিয়া সোজা কলেজে যায় সেখানে গিয়েই অপু এর সাথে দেখা হয় ওখানে অপু কলেজের গেট এর বাইরে দিয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল আজকে তাদের কাপল ড্যান্স এর কথা অপু রেডী হয়েই এসেছে কিন্তু দিয়া হয়নি হবে তাই প্রোগ্রাম এর সমস্ত কিছু গুছিয়ে নিয়ে এসেছে
হে আমি তাদের ভালবাসার কথাই বলছিলাম তারাও ঠিক সেরকম যেরকম একটা সত্যি ভালোবাসার গল্পে থাকে হে তারা দুজনই দ্বিতীয়
বর্ষের ছাত্র -ছাত্রী তারা প্রত্যেকদিন একই সাথে কলেজে যায় বাড়ি আসে পড়াশুনা করে দুজনই দুজনের খুব ভালো খেয়াল রাখে
দিয়া আর অপু তারা দুজনেই ক্লাস সিক্স থেকে একই স্কুলে পড়ত এবং তখন থেকে একজন আরেকজনের বাড়িতেও পড়ত
তাই তারা তখন থেকেই একজন আরেকজনের খুব ভালো বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল
তাই বাড়ির সবাই তাদের মেলামেশা কে পছন্দ করত তাদেরকে সবসময় সাপোর্ট করতো
দিয়া যখন ক্লাস টেনে পড়ে তখন দিয়ার দিদি রিয়া
উনার বিয়ে হয় তখনও অপু এবং অপুর সমস্ত পরিবার এই বিয়েতে উপস্থিত ছিল এবং তারা তখনও খুব ভালো বন্ধু ছিল এবং দিয়ার বাবা ও অপুর বাবার সঙ্গে
ব্যবসা করে তারা এই ব্যবসাটা শুরু করেছে যখন
দিয়া এবং অপু
খুব ছোট ছিল তখন হয়তো তাদের পাঁচ বছর হবে ঠিক তখন তারা এই ব্যবসাটা শুরু করে
তখন থেকে
দিয়া ও অপুর বাড়ির সবাই তাদের বাড়ীতে যাওয়া আসা হয়েছে তারপর দিয়ার দিদির বিয়ে হল
তখন দীয়া একমাত্র বাড়িতে ছিল কারণ দিয়া ও রিয়া তারা দুই বোন ছিল যখন রিয়ার বিয়ে হয়ে যায় তখন থেকে
দিয়া একা পড়তে চাইতো না
বাড়িতে খেলারও কেউ ছিল তারপর
তারপর ওদের মা-বাবা সিদ্ধান্ত নিল অপু একসাথে পড়াশোনা খেলাধুলা করবে
তখন থেকে দিয়া
এবং অপু
আস্তে আস্তে খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠলো
তারপর তারা
এরকমভাবে আরো পাঁচটি বছর কেটে গেল তারা ক্লাস টেন এ থাকতেই তাদের মধ্যে আস্তে আস্তে ভালবাসা জন্মাতে থাকে
তখন আরো খুব ভালো করে পড়াশোনা করে
দুজনের মা বাড়িতে থাকতো বাবারা ব্যবসার কাজে বাড়ি থেকে বাইরে থাকতেন
আজ এই ড্যান্স প্রোগ্রামটা দিয়া আর অপুর অনেক দিনের ইচ্ছে তাই দিয়া তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে এসে পড়ল তাদের প্রোগ্রাম এর সময় ছিল ১১টা তারা দুজনই দাড়িয়ে আছে কখন তাদের নাম ডাকবে প্রোগ্রামটা শুরু হয়েছে সাড়ে ১০ টায় আর কিছুক্ষণ এর মধ্যে তাদের নাম ডাকবে এত হুড়োহুড়ির মধ্যেই অপুর চূখ দিয়ার দিকে গেল অপু যেনো চুখ সরাতেই পারছে না
হাতে সুনালি চুরি, পায়ে আলতা পড়া আছে নূপুর , কানের দুল, চুখে কাজল আর পরনে আছে সারি এসব দেখে অপু শুধু চেয়েই আছে অমনি করে তাদের নাম ডাকল
দিয়া অপুকে দেখে বলে চলো আমাদের ডাকছে অপুর যেনো হুসও
নেই দিয়া জোরে একটা ধাক্কা দিয়ে হাত ধরে টেনে নিয়ে যায় প্রোগ্রাম এর মঞ্চে সেখানে তাদের ড্যান্স শুরু হয়ে যায় তাদের ড্যান্স শেষ হয়ে গেলে অপু দিয়াকে হাত ধরে লাইব্রেরী রুম এর দিকে নিয়ে যায়
দিয়াকে আজ খুব সুন্দর লাগছিল
অপু আবারও সেই ভাবেই তাকিয়ে থাকে হঠাৎই দিয়ার বান্ধবী স্নেহা সেখানে এসে বলে তোমাদের রোমান্স শেষ হয়ে গেলে চলো প্রিন্সিপল মেম ডাকছে তোমাদের কথা আছে বললো দিয়া বললো আচ্ছা চল তারপর বেরিয়ে আসল তারা সবাই প্রিন্সিপল মেম এর কাছে যেতেই মেম খুব আনন্দিত হয়ে বলে তোমাদের ড্যান্স সবার কাছেই খুব ভালো লেগেছে এই বলে
তাদের জুস দিতে বলে কলেজের ওয়ার্কার কে দিলে খেয়ে রেস্ট নিয়ে দিয়া বলল বাড়ি যাবো
অপু: কিন্তু এখন কেনো?
দিয়া: আবার বিকালে টিউশন আছে না ভুলে গেলে তুমি কি যাবে না আজ
অপু: আজকে না গেলে কি হবে চল না আজকে এই প্রোগ্রাম টা আরো দেখি
দিয়া: ও আচ্ছা আজকে না যাওয়ার প্ল্যান
অপু: হে
ঠিক আছে যাবো না কিন্তু চল বাড়ি গিয়ে আবার আসবো ড্রেস চেঞ্জ করতে হবে তো
ওকে চল এই বলে ওরা বাড়ি গিয়েআবার এসে প্রোগ্রাম এনজয় করতে লাগলো এভাবেই তাদের ভালোবাসার জীবন চলতে থাকল।।