অমিত আজ 25 বছর পর দেশে ফিরছে।আজও দেশে ফেরার কোনো ইচ্ছে নেই কিন্তু ফেরার একমাত্র কারণ হল ওর মা অমিত ছোট থেকে ওর মা এর কাছে মানুষ হয়েছে। অমিত এর জন্য ওর মা আজ পর্যন্ত কাজ করে।অমিত এর বাবা মা ভালোবাসে বিয়ে করেছিল কিন্তু অমিত যখন একটু একটু বুঝতে শিখে তখন দেখতো ওর বাবা মা ছোট খাটো বিষয় নিয়ে খুব ঝগড়া করতো আমিত যখন মাত্র পাঁচ বছর বয়স তখন তার বাবা মার ডিভোর্স হয়ে যায়। তখন তারা কেউ ছোট্ট অমিত এর কথা চিন্তা করে নি।অমিত এর দাদা অমিত এর বাবা কে দ্বিতীয় বিয়ে করায় আর অন্যদিকে অমিত এর মা একা থেকে অমিতের সমস্ত দায়িত্ব পালন করতে থাকেন । তখন ছোট্ট অমিত বুঝতো না তার বাবা মা কেনো আলাদা থাকে।অমিত কারো সাথে কথা বলতো না সারাক্ষণ রোদে মধ্যে ছাদে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতো।অমিত এর মা তার আদরের ছেলেকে এভাবে বদলে যাওয়া কোনো ভাবে মেনে নিতে পারে নি।অমিত এর বাবা তার সংসার নিয়ে ব্যস্ত তার সময় নেই অমিত কে একটু সময় দেওয়ার।তাই অমিত এর মা বাধ্য হয়ে অমিত কে নিয়ে কলকাতা চলে যায়। এরপর থেকে মিরা আস্তে আস্তে বদলে যেতে শুরু করে রাগ,জেদ মিলে এক অন্য অমিত এর জন্ম হয়। তখন থেকে অমিত বিশ্বাস করত পৃথিবীতে ভালবাসা বলে কোনো কিছু নেই যা আছে তা শুধু মোহো।মাত্র সতের বছর বয়সে ওর মা বিজনেস এ যোগ দিয়ে নিজের দক্ষতার ওর মা এর কোম্পানি কলকাতা তে নাম্বার ওয়ান কোম্পানি তৈরি করে। এদিকে অমিত এর বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীর লিপিকার কোল আলো করে জমজ ছেলে সন্তান জন্ম নেয়।বড় ছেলের নাম আনসু আর ছোট ছেলের নাম দিপসু। aansu এর বিয়ে পারিবারিকভাবেই ঠিক হলে তখন আমিত এর বাবা অমিত এর মাকে বিয়েতে অমিত কে নিয়ে আসতে বলে অমিত যাবে না তাই অমিত ও মা কেউ ঐ যায় নি । কিন্তু হঠাৎ করে অমিত এর মা এর শরীর খারাপ হয়ে যায।
তাই অমিত তার মাকে নিয়ে আবার আগের বাড়িতে চলে আসে
অমিত অনেক দিন পর বাড়িতে আসায় তার বাড়ির আশে পাশের লোকজনও তাকে দেখতে আসে
ওর মাকে দেখে hospital এ নিয়ে যেতে বলে
এরইমধ্যে একজন লোক বলে তোর বাবাকে খবরটা
দিয়েছিস কি অমিত
অমিত এই কথা শুনতেই ওর রাগে মাথা খুব খারাপ হয়ে গেল
তারপর অমিত খুব জোড়ে বলে উঠে আমার বাবা বলে কেউ নেই তাই তোমরা কেউ আমাকে এমন কোনো কথা আর বলবে না
হঠাৎ অমিত এর মাসি ও মেসো আসে দেখেই
অন্য লোকজন এর কথা এড়িয়ে চলে যায়
অমিত এর মাকে hospital এ নিয়ে রাস্তায় অমিত এর বাবা উনিও অমিত এর মা অসুস্থ শুনেই আসছিল
রাস্তায় দেখলেও অমিত গাড়ি দাঁড় করাতে চায় নি
বাধ্য হয়ে তাকে দাড়াতে হল তারপর অমিত এর বাবার সাথে কথাও বললেন অমিত ও অমিত এর মাসি মেসো
এত গুলো বছর পর অমিত এর বাবার যেনো অমিত এর মায়ের জন্যে ভালোবাসা উতলে উঠলো
ওদের সাথে অমিত এর বাবা ও হসপিটাল এ গেল
গিয়ে dr দেখাতেই বলেন BP check করতে
আসলে অমিত এর মা এত গুলো বছর ধরে নিজে খুবই
পরিশ্রম করে ছেলেকে মানুষ করেছে এখন ওর মায়ের একটু বয়স হল তাই BP বেড়ে গেলো
BP check করে dr ওষুধ লিখে ছোটি দিয়ে দেয়
তারপর অমিত এর বাবা বাড়িতে চলে যায় ও অমিত এর মাসি ও মেসো অমিতকে বিয়ে করার কথা বলে
অমিত এর মায়ের সাথে
তখন অমিত এর মা কিছুটা সুস্থ আছেন
বয়স্ক মহিলা এখন তেমন বাড়ির কাজও ঠিক করতে পারে না তাই অমিত এর বিয়েটা খুবই দরকার
তাই অমিত এর মাও এই কথা তে রাজি হয়ে অমিতকে বললো অমিত মাকে খুব আস্তে করে বলে যে তোমাদের কোনো মেয়ে দেখতে হবে না আমি ঠিক করে রেখেছি
নাম অর্পিতা আমার আগের স্কুল এর সামনেই বাড়ি
তারপর আর কি আমিত এর মাসি ও মেসো তার মা কে নিয়ে গিয়ে কথা বলে বিয়ে ঠিক করে আসলেন
অমিত আর অর্পিতার বিয়ে হল তাদেরও সংসার শুরু হল
আজ ওদেরও একটি ছেলে ও একটি ছোট মেয়ে আছে তাদের সবাই কে নিয়ে অমিত ও তার মা এখন খুব ভালোই আছেন।।