যাকে আমরা মনে প্রাণে ভালোবাসি তার প্রতি আমাদের ভালোবাসাটা অমর হয়ে থাকে
যে ভালবাসা কখনো শেষ হয় না
সে জতই ভুল করুক না কেন
তার প্রতি ভালোবাসা কমবে না
ঠিক সেরকমই একটা গল্প বলছি
অপু আর উর্মিলার ওরা আমার গ্রামেরই আমি তাদের দাদা ও দিদি বলে ডাকি তাদের ভালোবাসাটাও
অফুরন্ত আসলে আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি তো তাই বুঝতে পারলাম যে তাদের ভালোবাসাটা অন্য সবার থেকে খুবই আলাদা
এত এত মানুষ দেখলাম কিন্তু তাদের একজন এর প্রতি আরেকজন এর যেরকম টান সেটা অন্য কোথাও দেখিনি তাদের বাড়ি পরস্পর থেকে আধ কিলোমিটার দূরে তারা প্রতি দিন সকাল 5টাই ঘুম থেকে উঠে হাট তে বেরোয় তারপর দুজন দেখা করে ও একটি
শিব মন্দির এ যায় তারা সেখানে গিয়ে প্রতি সোমবারে ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করে ও ঠাকুরের পায়ে ফুল দিয়ে থাকে
সেখানে তারা সকাল 8 টা পর্যন্ত সময় কাটায় তারপর দুজনই বাড়িতে চলে যায়
দিদি পড়ে English honours কলেজ 2nd year ও
দাদা আমার কেমিস্ট্রি তে honours
University ta 3Rd yr বাড়িতে এসেই ready হয়ে বেরিয়ে পরে নিজেদের কাজ এর জন্য আবার বাড়ি থেকে বের হয়েই একে অপরকে কল করে
তারপর সময় মতো নিজেদের কাজ শেষ করে আবার একটু সময় কাটানোর ব্যাবস্থা করে
আসলে তারা শুধু নিজেদের ভালোবাসা নিয়েই ব্যাস্ত হয় না তারা
ভাবে তাদের ভবিষ্যতের কথা তাদের মা বাবা সবার কথা কিভাবে সবার দায়িত্ব নেবে কি করে সব কিছু সামলাবে হে তাদের পরিবার এ কোনো কিছুর অভাব নেই ঠিক কিন্তু তাদের কথা দিদি ও দাদা খুবই গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা করে ও কিভাবে সেই চিন্তাকে কাজে লাগাতে হবে তারও ব্যাবস্থা করার চেষ্টা করে
আসলে তারা দুজনই ভাবছিল যদি একটা কোচিং সেন্টার খোলা যায় ও সেখানে দুজনই পরাবে
এইসব নিয়ে কথা বলত ও দিদি বাড়িতে যখনই ফ্রী থাকবে আমায় ডেকে নিয়ে তাদের এসব কথা আমায় বলতো
যাইহোক তারপর তারা বেশ কিছু দিন এর মধ্যেই একটা কোচিং সেন্টার খুলে পড়া শুরু করলো
সেখানে তারা দুজনই পরাতো
ও তাদের অনেকটা সাহায্য হতো
এরকম ভালোবেসে একে অপরকে সাহায্য করা আমি খুব কম দেখেছি
তাই তাদের প্রতি আমার বিশ্বাস যে তাদের ভালোবাসাটা আফুরন্ত
যেটা কখনো শেষ হবে না
সবসময় একসাথে থাকে আর ভবিষ্যতেও থাকবে
তারপর এমন করে আরও 2বছর কেটে গেল দিদি কলেজ শেষ করে
B ed এ admission নিল আর দাদা একটা company তে জব করা শুরু করলো ও সাথে দুজনই কোচিং সেন্টার এবং পড়া ও চালাতে থাকলো তাদের টার্গেট যে দিদির
B ed শেষ হলেই তারা বিয়ে করে তাদের সব কিছু চালিয়ে যাবে
আর এর মধ্যেই দাদা কলেজে প্রফেসার হয়ে গেলেন আর 1বছরের মধ্যেই কারণ দাদা দিদি থেকে উচু ক্লাস এ ছিল তারপর দিদিরও b ed শেষ হলো ও এক বছরের মধ্যেই টেট পরীক্ষা দিল
ও তারা ডিসাইড করলো এখন তাদের কোচিং এ অন্য কোনো teacher আনতে কারন তাদের কাছে
কোচিং এর জন্য কোনো সময় ছিল না তারপরেও তারা নিজে একটু পড়ানোর চেষ্টা করবে এই বলে কিছু teacher রাখলো ও দিদি জব পেলো স্কুল teacher তারপর তারা বিয়ে করে তাদের নতুন জীবন শুরু করে আমাকে আবারও বুঝিয়ে দিল তারা একে অপরকে কতো ভালবাসে ও তারা তাদের পরিবারের কথাও খুব ভাবত তেমনি কাজে ও লাগলো
এভাবেই তারা তাদের নিজেদের ও পরিবারের পাশে দাঁড়ালো ওএকজন দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিল।।