অমিত এর মা -বাবার বয়স তখন 18-20 বছর যখন তারা বিয়ে করেন ওনাদের ভালোবাসা শুরু হয় 15 বছর বয়সে তারা একসাথে একই স্কুলে পড়ত অমিত এর বাবা প্রথম যখন ওর মা কে দেখেছিলেন তখনই উনাকে ভালোবেসে ফেলেন তারপরই ওর মা কে প্রপোজ করে ও এক বছর পরেই বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দেয় অমিত এর বাবার ভালো business থাকায় সবায় এই প্রস্তাব মেনে নেয় ও তাদের বিয়ে দেন তারা সবাই অমিত এর বাবার ব্যাবহার দেখে কখনো বুঝেনি যে সে অমিত এর মাকে কখনো একা রেখে চলে যাবে বুঝতে পারেনি ভালোবাসা নিয়ে ছেলেখেলা করবে সবাই তাদের ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ খুবই যত্ন, সন্মান ও বিশ্বাস করার মতো যোগ্য অমিত এর বাবা তাই সবাই মনে করত অমিত আর ওর মা বাবার বিয়ে হলেও তারা খুব সুখী হবে আর এইকারণেই সবাই মিলে তাদের বিয়ে দিল কিন্তু বিয়ের প্রথম পাঁচটি বছর ভালই কাটলো তারপর অমিত এর জন্মের 3বছর পর হঠাৎ তাদের মধ্যে ঠিক কি নিয়ে ঝগড়া শুরু হল কেউ জানে না রোজ রোজ ঝগড়া করতে করতে আরও 2বছর কেটে গেল তখন আমিত এর 5বছর অমিত এর মা বাবা তখন ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ও তারা একে অপরের সাথে ডিভোর্স দেয় তখন থেকেই অমিত আর অমিত এর মা ওর বাবা থেকে আলাদা থাকে ।।
যাইহোক সেইসব দিনগুলো যেভাবেই কেটে গেল কিন্তু অমিত তার নিজের ভালোবাসার মানুষটাকে এত দূর থেকেও যে আগলে যত্ন করে রাখতে পেরেছে সেটাই অনেক তারা একে অপরের থেকে দূরে থাকত ঠিকই কিন্তু রোজ একবার হলেও ফোন এ কথা বলত তারা এক জায়গাতে থাকত সেই ছোট্ট সময় তারপর অমিত যখন কলকাতা চলে যায় তখন বেশ কিছু বছর পর অর্পিতা ও অমিত এর যোগাযোগ হয় call এর মাধ্যমে তারা দুজনই খুব ভালো মনের মানুষ ও একে অপরকে খুব ভালবাসে।।
অমিত শুধু তার মায়ের জন্যে নয় তার দীর্ঘদিনের ভালোবাসাকে ও দেখতে এসেছেন এত গুলো বছর পর অমিত এর মনে একদিকে যেমন তার মায়ের শরীর আসুস্ততার জন্য মন খারাপ ছিল তেমনি অন্যদিকে তার ভালোবাসাকে দেখা ও কাছে পাওয়ার আনন্দও ছিল এত বছরের পর অমিত মাকে dr দেখিয়ে তার অর্পিতা এর সাথে দেখা করতে গেলেন ওখানে ওর মাকে dr দেখিয়ে বাড়িতে রেখে অর্পিতার সাথে দেখা করতে গিয়ে রাস্তায় একজন কাকার সাথে দেখা হলে অমিত জানতে পারেন অর্পিতার বাবা আর এই পৃথিবীতে নেই এই কথা শুনে অমিত হঠাৎই থমকে গেল তারপর কাকা অমিতকে নিয়ে রাস্তার পাশে একটি বড় গাছ আছে সেখানে বসলেন তারপর অমিত কে খুব ভালো করে সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করলেনও অর্পিতার বাড়ির সমস্ত খবর দিতে থাকেন তখন অমিত হঠাৎ বলেন ঠিক আছে কাকা আমি তাহলে যাই বাকি কথা না হয় অর্পিতার কাছ থেকেই শুনবো তখন কাকা বললো কিন্তু বাবা অর্পিতা তো এখন বাড়িতে নেই অমিত অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল বাড়িতে নেই মানে তাহলে কোথায় আছে অর্পিতা কাকা প্লীজ তুমি আমাকে বলো অর্পিতা কোথায় আছে আমি এত বছর পর অর্পিতা এর সাথে দেখা করতে এসেছি প্লীজ বলো কাকা তারপর অমিত কে জড়িয়ে ধরে কাকা বললো শান্ত হও তুমি অর্পিতা এখন বাড়িতে নেই কিন্তু বিকেল 4টার মধ্যে চলে আসবে তখনও অমিত শান্ত হতে পারছে না বার বার বলছে ও জানতে চাইছে কোথায় অর্পিতা কাকাকে কথা বলার সুযোগ ও দিচ্ছে না তারপর কাকা অমিত এর মুখে আস্তে করে চাপ দিয়ে বলে চুপ করো বাবা অমিত অর্পিতা এখন পাশের গ্রামের
স্কুলটিতে teacher হয়েছে তাই সে ওখানেই আছে।।
অমিত খুব জোড়ে শাস নিয়ে বলে ও সেই কথা কাকা আপনি আগে বলবেন তো এমনি কাকা বলেন আমায় তো তুমি বলার সুযোগ ও দিলে না বাবা কি করে কলবো বলো তো তারপর অমিত কাকাকে বললো তোমায় অনেক ধন্যবাদ গো কাকা আমাকে বলার জন্য
কাকা: না বাবা ধন্যবাদের কি আছে তুমি তো আমার ছেলেরই মতো।
অমিত: তবও কাকা তোমার মতো মানুষ আজকের দিনে খুব কমই আছে
কাকা: আচ্ছা বাবা অমিত অনেক কথা হল এইবার চলো আমার সাথেআমার বাড়ি যাবে ওখানে অর্পিতা আসতে আসতে তোমার সময়টাও একটু কেটে যাবে ও গিয়ে তোমার কাকিমা ও তোমার ছোট্ট বোনকেও দেখে আসতে পারবে চলো
অমিত: ঠিক আছে কাকা চলো
এই বলে তারা দুজনই চললো কাকার বাড়িতে কাকার বাড়ির কিছুক্ষন যেতেই রাস্তায় দেখা হল অমিত এর ছোটবেলার বন্ধু বিপিন এর সাথে সেখানে আবার কতক্ষন বসে গল্প করতে লাগলো গল্পের শুরুতেই অমিত এর বন্ধু জিজ্ঞেস করল তোর মা কেমন আছেন এসব কথা শেষ করে অমিত এর বন্ধু বাড়ি চলে গেল ও অমিত ওর কাকার সাথে উনার বাড়িতে গেলেন
বাড়িতে যেতেই উনার মেয়ে আর স্ত্রী বাইরে বেরিয়ে আসল ও জিজ্ঞেস করতে লাগল অমিত কে কি করছে এখন ওর মা কেমন আছেন আরও অনেক কিছু তারপরে অমিতকে ঘরে নিয়ে বসালেন ও জল খাবার দিলেন অমিত অনেক মানা করা সত্ত্বেও অমিতকে জল খাবার খেতে হল
হঠাৎই অমিত এর চুখ পরে ঘড়ির দিকে ও দেখে 4টা প্রায় বেজেই গেছে তারপরে ও কাকা কাকিমা কে নমস্কার করে অর্পিতার বাড়ির দিকে রওনা হন একটু যেতেই দেখে অর্পিতা এসে পড়ল তারপর অমিত কে দেখে অর্পিতা খুবই অবাক হল
তারপরে অমিত আস্তে আস্তে ওর কাছে গেলো কাছে যেতেই অর্পিতা কেঁদে দিল ও অমিত কে জড়িয়ে ধরে কাদতেঁ লাগলো তারপর অমিত কোনো ভাবে অর্পিতা কে বাড়িতে নিয়ে গেলো ও বাড়িতে গিয়ে অর্পিতার বাড়ির সমস্ত কথা জানতে পারলো।।